কম্পিউটার বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর উদন্ডাবন। চার্লস ব্যাবেজ কম্পিউটারের একটি প্রাথমিক ধারণা দেন। তার ধারণার ওপর ভিত্তি করে ১৯৪৬ সালে প্রথম স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার উদ্ভাবিত হয়। আর তাই তাকেই কম্পিউটারের জনক বলা হয়। এটা এমন একটা বৈদ্যুতিন যন্ত্র যা অসংখ্য উপাত্ত গ্রহণ করে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেগুলাে বিশ্লেষণ করে অত্যন্ত দ্রত সিদ্ধান্ত দিতে পারে। কার্যক্রম অনুসারে কম্পিউটারকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা যায়। সেগুলাে হলাে অ্যানালগ, ডিজিটাল এবং হাইব্রীড কম্পিউটার। গঠন ও পরিকাঠামাে অনুসারে কম্পিউটারকে চারভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলাে হলাে সুপার কম্পিউটার, মেইনফ্রেম কম্পিউটার, মিনি কম্পিউটার এবং মাইক্রো কম্পিউটার। মাইক্রো কম্পিউটারকে পিসিও (ব্যক্তিগত কম্পিউটার) বলা হয়। কম্পিউটারের বিশেষ কিছু যন্ত্রাংশ আছে। এগুলো হলাে ইনপুট ডিভাইস, সিপিইউ (কেন্দ্রীয় কার্যক্রম নিয়ন্ত্রক) এবং আউটপুট ডিভাইস। যাহােক, কম্পিউটার আমাদের অনেক কাজ আসে। এটা দৈনন্দিন বুটিনবন্ধ কাজ পরিগণনা, ব্যবসা-বাণিজ্য, রােগ শনাক্তকরণ, বিনােদন, খেলাধুলা, যাতায়াত, শিক্ষা এবং মহাকাশসহ গবেষণা আরও অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় । ই-মেইল, ইন্টারনেট ও রােবট উদ্ভাবনে এটা বিরাট বিস্ময় সাধন করেছে। তাছাড়া, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, বাজেট প্রস্তুতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ গবেষণায় এর কার্যকারিতা অত্যন্ত ব্যাপক। তবে কম্পিউটার অবিমিশ্র আশির্বাদ নয়। এর ব্যাপক ব্যবহারের ফলে বেকার সমস্যা প্রকটতর হচ্ছে। কম্পিউটার ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা তাঁদের চোখ, হারাতে পারে। এতদসত্ত্বেও কম্পিউটার ছাড়া বর্তমান বিশ্ব চলতে পারে না। সত্য বলতে, আধুনিক সভ্যতা অনেকাংশে কম্পিউটারের ওপর নির্ভরশীল।
Related Posts
লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment