বৈশাখী মেলা হলাে সেই মেলা যা বাংলা বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখের আগমনকে অভিবাদন জানানাের জন্য উদযাপন করা হয়। ইহা বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশের লােকেরা বাংলা নববর্ষ উদযাপনে অভ্যস্ত। আমরা রবীন্দ্রনাথের আধ্যাত্মিক বাংলা গান, “এসাে হে বৈশাখ, এসাে এসাে" গানটি গেয়ে দিনটিকে স্বাগত জানাই। যুবক, বৃন্ধ এবং শিশুরা মেলা পরিদর্শন করে এবং বিভিন্ন জিনিস যেমন মাটির জিনিসপত্র, ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পজাত দ্রব্য, বাঁশের বাঁশি অত্যন্ত উৎসাহের সাথে ক্রয় করে। এগুলাে ছাড়াও লােকে বিশেষ আকর্ষণ হিসাবে সার্কাস, নাগরদোলা এবং যাত্রা উপভােগ করে। কখনাে কখনাে অনৈতিকতা এবং দুর্বল প্রশাসনের কারণে জুয়া এবং নগ্নতা মেলাকে ব্যাহত করে। শহর ও নগরের মেলায় বইয়ের দোকান দেখা যায় যা আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতিকে প্রতিবিম্বিত করে। এটা গর্বের এবং আনন্দের বিষয় যে, বৈশাখী মেলার মাধ্যমে আমরা আমাদের পরিচয়কে প্রকাশ করি। এইজন্য বৈশাখী মেলাকে আমাদের সংস্কৃতি, উত্তরাধিকার, ঐতিহ্য এবং ভ্রাতৃত্ববােধের প্রতি আন্তরিকতা প্রকাশের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
Related Posts
লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
1 comment