পরিবেশ বলতে বায়ু, পানি এবং মাটিকে বােঝায়, যেখানে মানুষ, পশুপাখি এবং গাছপালা থাকে। সুতরাং মানুষ, পশু-পাখি, গাছপালা, বায়ু, পানি ও মাটি হচ্ছে পরিবেশের প্রধান প্রধান উপাদান। আমাদের পরিবেশ প্রতি মুহূর্তে বিরামহীনভাবে দূষিত হচ্ছে। দূষণ হচ্ছে। প্রাকৃতিক পরিবেশে দূষক-এর উপস্থিতি যা বিরূপ পরিণতির সৃষ্টি করে। যেহেতু জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে কলকারখানা এবং যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে, তাই এগুলাে অধিক হারে বিষাক্ত ধোঁয়া এবং কার্বন মনােক্সাইড উৎপাদন করছে যা বায়ুদূষণ সৃষ্টি করছে। বায়ুদূষণ ঘটলে মানুষ কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য শ্বাসজনিত সমস্যায় ভুগতে পারে। এমনকি আমরা যে মাটিতে হেঁটে বেড়াই সেটাও আবর্জনা দ্বারা দূষিত হয়। আমাদের প্রমত্তা নদীগুলাের অবস্থা বর্তমানে খুবই শােচনীয়। এদের মধ্যে গুটিকয় ইতােমধ্যে মৃত আর কতিপয় মুমুর্ষ অবস্থায় রয়েছে। লােকে কল-কারখানা, হাসপাতাল ও ক্লিনিক এবং গৃহস্থালীর প্রচুর পরিমাণে বিষাক্ত রাসায়নিক ও আবর্জনা পানিতে ফেলে নদীর পানি দূষিত করে। যদিও আমরা এসকল দূষণ থেকে পুরােপুরি মুক্তি পেতে পারি না, তবে আমরা এটাকে ব্যাপকভাবে কমাতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এসকল দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদেরকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমি মনে করি বিভিন্ন ধরনের দূষণ সম্বন্ধে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতাই হচ্ছে এসকল দূষণ কমানাের প্রথম পদক্ষেপ। অধিক বৃক্ষরােপণ হচ্ছে বায়ুদূষণ কমানাের পূর্বশর্ত। আর একটি কার্যকর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা প্রণয়ন ও ব্যবস্থাপনা পানিদূষণ অনেকাংশে কমাতে পারে। সর্বোপরি, আমাদেরকে প্রকৃতির সাথে খাপ খাইয়ে চলতে হবে এবং পৃথিবীকে দূষণমুক্ত রাখতে হবে।
Related Posts
লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment