যে ছাত্র/ ছাত্রীর বিশেষ কিছু গুণাবলি যেমন সততা, আন্তরিকতা/ সচেতনতা, আনুগত্য, সময়ানুবর্তিতা, অধ্যবসায় ইত্যাদি রয়েছে তাকে বলা হয় একজন আদর্শ ছাত্র/ ছাত্রী। চরিত্রে এই সব মানবিক গণাবলি থাকার কারণেই একজন আদর্শ ছাত্র/ ছাত্রী সর্বদা সত্য কথা বলে। সে কখনাে মিথ্যা বলে না। তার সকল কাজ-কর্মে সে সততা বজায় রাখে। তার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে সে অসততাকে ঘৃণা করে। একজন আদর্শ ছাত্র/ ছাত্রী তার লেখাপড়ার প্রতি হয় আন্তরিক। সে সর্বদা এটাই ভাবে যে, লেখাপড়া করাটাই তার মূল দায়িত্ব। সুতরাং, একজন আদর্শ ছাত্র/ ছাত্রী পূর্ণ মনােযােগ সহকারে নিয়মিত পড়াশােনা করে। একজন আদর্শ ছাত্র/ ছাত্রী সময়ানুব্তী ও অধ্যবসায়ী হয়ে থাকে। সময়ানুবর্তী হওয়ার কারণে সে তার দৈনন্দিন কাজকর্মে কঠোরভাবে সময়সূচী মেনে চলে। সে তার ক্লাসে বা অন্যান্য অনুষ্ঠানাদিতে কখনােই বিলম্বে উপস্থিত হয় না। অধ্যবসায় এর গুণাবলী তাকে অধ্যবসায়ী করে তােলে। সে কঠোর পরিশ্রমকে কখনােই ভয় পায় না। যখন, যেখানে সে দেখে কঠোর পরিশ্রম করাটা জরুরি তখনই, সেখানেই সে সর্বান্তকরণে কঠোর পরিশ্রমে নিজেকে আত্মনিয়ােগ করে। আনুগত্য হচ্ছে একজন আদর্শ ছাত্র/ ছাত্রীর আরেক বিশেষ গুণ। সে সর্বদা তার গুরুজন ও বয়ােজ্যেষ্ঠদের এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বাবা-মার প্রতি অনুগত। সে কারাে প্রতিই অনানুগত্য প্রকাশ করে না। একজন আদর্শ ছাত্র/ ছাত্রী নিয়মানুবর্তীও বটে। সে সর্বদা তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সেই দেশের বিধি-বিধান মেনে চলে যার সে একজন নাগরিক। একজন আদর্শ ছাত্র/ ছাত্রী সহযােগিতা হয়ে থাকে। সে অন্যান্য ছাত্র/ ছাত্রীদের সহযােগিতা করে। সে পড়ুয়া হয়ে থাকে। মনােযােগ সহকারে সে তার লেখাপড়া করে। না বুঝে কখনাে সে তার পাঠ মুখস্থ করে না। বিদ্যালয়ের সহশিক্ষা কার্যক্রম এবং সামাজিক কাজকর্মে সে সর্বদা অংশগ্রহণ করে। নম্রতা হচ্ছে। সেই গুণ যা একজন আদর্শ ছাত্র/ ছাত্রীর চরিত্রে প্রথমেই দৃষ্ট হয়। একজন আদর্শ ছাত্র/ ছাত্রীকে সকলেই ভালােবাসে। আমি একজন ভালাে ছাত্র/ ছাত্রী হতে চাই আর তাই, আমি একজন আদর্শ ছাত্র/ ছাত্রীর গুণাবলিগুলাের চর্চা করছি।
Related Posts
লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
1 comment