শৈশবকালকে একজনের জীবনের সােনালী সময় মনে করা হয়। যখন সে বয়ঃপ্রাপ্ত হয় তখন শিশু অবস্থার স্মৃতিচারণ করে। শৈশবের দিনগুলাের স্মৃতিচারণ বড়ই মধুর। আমি প্রায়ই আমার বাল্যকালের দিনগুলাের দিকে ফিরে তাকাই এবং দিনগুলাের মধুর ঘটনাগুলাে স্মরণ করি। আমি ছিলাম আমার বাবা মায়ের ছােট সন্তান। তাই আমাদের পরিবারের সকল সদস্যই আমাকে খুব বেশি ভালবাসতেন। আমি যা চাইতাম তারা তা-ই দিত। তারা সবসময় আমাকে খুশি রাখতে চাইত। আমি পাঁচ বৎসর বয়সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। স্কুলের প্রথম দিন ছিল আমার অন্যতম একটি সুখের দিন। আমি ঐ দিন আমার বাবার সাথে বিদ্যালয়ে গেলাম। আমার শিক্ষকগণ আমাকে সদয় ও স্নেহপূর্ণ কথাবার্তা বলেন। আমার সহপাঠীরা আমাকে ভালােবাসা ও আগ্রহ নিয়ে গ্রহণ করল। আমি আমার প্রথম পাঠ গ্রহণ করলাম যা আমার জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা। আমার শিক্ষকগণ ও সহাপাঠীরা সকলেই আমার প্রতি সদয় ছিল। আমি এখন তাদের মধুর সঙ্গ থেকে বহুদুরে কিন্তু তাদেরকে জীবনে আমি কোনােদিন ভুলবােনা। আমি বাবার সাথে গ্রামের বাজারে গিয়ে সুখকর সময় কাটাতাম। মিষ্টি ও খেলনার দোকান আমার জন্য বড় আকর্ষণের ছিল। আমি আমার বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করতাম এবং পুকুরে গােসল করতাম। শৈশবকালে আমি কতইনা সুখী ছিলাম! ঐ দিনগুলাের সুখকর স্মৃতি এখনও আমার হৃদয়কে তৃপ্ত করে অপরিসীম। আনন্দে। আমি যদি সেই সুখের দিনগুলােতে ফিরে যেতে পারতাম!
Related Posts
লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
1 comment