সামাজিক মূল্যবােধ মানুষের জীবনাচরণের মানদন্ড। ব্যক্তিগত মর্যাদার স্বীকৃতি, সবাইকে একই রকম সুযােগ-সুবিধা প্রদান, আত্ম নিয়ন্ত্রণের অধিকার, আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন, গণতান্ত্রিক অধিকার ও সুযােগ-সুবিধা, শ্রমের মর্যাদা, সামাজিক দায়িত্ব, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, ধন-সম্পদের যথাযথ ব্যবহার, পারস্পরিক সহিষ্ণুতা ও আত্মসম্মানবােধের সমষ্টি হলাে সামাজিক মূল্যবােধ। নিরক্ষরতা, অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের কারণে অতীতে সামাজিক মূল্যবোেধ সংরক্ষিত হতাে না। তবে শিক্ষা বিস্তারের কারণে এগুলাে বর্তমানে কঠোর ভাবে মেনে চলা হয়। বর্তমান সামাজিক মূল্যবােধের কারণগুলাে উল্লেখযােগ্য। প্রথমত, মানুষ শিক্ষিত আর তারা তাদের অধিকার ও সুযােগ সুবিধার ব্যাপারে সচেতন। দ্বিতীয়ত, তারা অনাকাঙ্ক্ষিত তথা অস্বাভাবিক ঘটনা থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে চায়। তৃতীয়ত, তারা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে চায়। চতুর্থত, তারা গণতান্ত্রিক অধিকার ও সুযােগ সুবিধা উপভােগ করতে চায়। পঞ্মত, তারা শ্রমের মর্যাদা পেতে ইচ্ছুক। ষষ্ঠত, তারা সামাজিক মর্যাদা পেতে আগ্রহী। যাহােক, বর্তমান যুগে সামাজিক মূল্যবােধের প্রভাব ইতিবাচক। মানুষ তাদের অধিকার ও সুযােগ-সুবিধার ব্যাপারে সচেতন হচ্ছে। তারা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম। তবে দুঃখের বিষয় সামাজিক মূল্যবােধ কখনাে কখনাে উপেক্ষিত হয়। অতএব, গণসচেতনতা সৃষ্টি ও যথাযথভাবে আইন প্রয়ােগের মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবােধ সংরক্ষণ করা উচিত।
Related Posts
লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment