লিঙ্গ সাম্য বলতে বােঝায় পুরুষ ও নারীর প্রতি বৈষম্যহীন সমান আচরণ। পুরুষ ও নারীর মধ্যে কোনাে বৈষম্য থাকবে না। খাদ্য, শিক্ষা, বাসস্থান, বস্ত্র ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে উভয়ের সাথে সমআচরণ করা হবে। লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত হলে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখা যায়। এছাড়া, কোনাে সমাজ বা রাষ্ট্রে লিঙ্গ বৈষম্য থাকলে টেকসই উন্নয়ন কখনাে অর্জিত হতে পারে না। আমাদের দেশে লিঙ্গ সমতা অবস্থা সন্তোষজনক নয়। কারণ এখানে লিঙ্গ বৈষম্য মারাত্মকভাবে বিরাজমান। এখানে কতগুলাে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে যার জন্য এখানে লিঙ্গ সমতা নেই। নারী শিক্ষার অভাব, আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামাে, ধর্মীয় অপব্যাখ্যা, কুসংস্কারাচ্ছন্ন বিশ্বাস, নারীদের অপর পুরুষদের আধিপত্র লিঙ্গ সমতার জন্য কয়েকটি প্রতিবন্ধকতা। নিরক্ষরতা, ধর্মীয় গোঁড়ামী, পুরুষশাসিত সমাজ ইত্যাদি এসব প্রতিবন্ধকতার জন্য দায়ী। নারী শিক্ষাকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। তাছাড়া লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে ধর্মীয় অপব্যাখ্যা বন্ধ করতে হবে। আমরা যদি লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হই তাহলে আমাদের দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ব্যাহত হবে। কেননা আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। তাদেরকে যদি জনবলে সম্পৃক্ত হতে না দেয়া হয় তাহলে টেকসই উন্নয়ন অর্জন কখনাে সম্ভব হবে না। ফলে আমাদের দেশ পিছিয়ে পড়বে।
Related Posts
লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment