কিছুদিন আগে আমাদের কলেজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আয়ােজিত একটি শিক্ষা সফরে যাবার সুযােগ আমার হয়েছিল। নির্ধারিত দিনে সকাল ৯টায় আমরা আমাদের শিক্ষকবৃন্দের সাথে বাগেরহাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। আমরা বাসে চড়ে সেখানে যাই এবং সেখানে পৌঁছাতে আমাদের ৪ ঘন্টা সময় লাগে। হালকা নাস্তা খাবার পর আমরা প্রথমে খানজাহান আলীর মাজার দেখতে যাই। এটি একটু উঁচু ভূমির উপর অবস্থিত। গম্বুজটা কাটা পাথরের তৈরি। মাজারের সামনে হ্রদের মতাে একটি বড় জলাধার আছে। এখানে অনেকগুলাে কুমির আছে। এরপর আমরা খানজাহান আলীর ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদ দেখতে যাই। সাতাত্তরটি গম্বুজ সহকারে পাথরের স্তম্ভের ওপর অবস্থিত। ষাট গম্বুজ মসজিদের অনন্য সৌন্দর্যে আমি আসলেই বিমুগ্ধ হয়ে যায়। ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন এ দুটি স্থান পরিদর্শনে আমরা প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সময় কাটায়। আমাদের মনে হচ্ছিল আমরা পীর খানজাহান আলীর সময়ে ফিরে গেছি। আমাদের মানসচনক্ষে ইতিহাস ভেসে উঠল এবং আমরা আনন্দিতচিত্তে ফিরে আসার জন্য প্রস্তুতি নিলাম।
Related Posts
লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment