মােবাইল ফোন এমন একটি টেলিফোনকে নির্দেশ করে যার কোনাে তার নেই। এটা বেতার তরঙ্গের সাহায্য কাজ করে। প্রায় সকল বয়সের মানুষ মােবাইল ফোন ব্যবহার করে। কিন্তু কিশাের প্রজন্ম এটা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করতে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ অনুভব করে। একজন ব্যক্তি তার নিজের সাথে মােবাইল ফোন বহন করতে পারে এবং যেকোনাে স্থানে ব্যবহার করতে পারে। এটা একটা সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার। এটা পৃথিবীব্যাপী আগ্রহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। এটা আমাদের অনেক কাজে লাগে। দূরবর্তী স্থানের লােকজনের সাথে যােগাযােগ করা ছাড়াও লােকে মােবাইল ফোনের সাহায্যে বার্তা পাঠাতে পারে, সময়-সূচি জানতে পারে, হিসাব করতে পারে, খেলাধুলা করতে পারে, গান শুনতে পারে, ছবি তুলতে পারে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে বৈশ্বিক সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে পারে। আর তাই এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। একজন ব্যক্তি মােবাইল ফোন ব্যবহার করে চোখের পলকে দূরব্তী স্থানে থাকা তার নিকটজন ও প্রিয়জনের সাথে যােগাযােগ করতে পারে। এটা লােকে মূল্যবান সময়, শক্তি এবং অর্থও বাঁচায়। এর স্বর্ণালী স্পর্শে পৃথিবীর দেশগুলাে হয়েছে একই গ্রামে বসবাসকারী অনেকগুলাে পরিবারের মতাে। মােবাইল ফোনের অসংখ্য সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। কখনাে কখনাে এটা ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হয়। বিশেষভাবে শিশুরা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বৈজ্ঞানিকরা বিশ্বাস করেন যে মােবাইল ফোন ক্যান্সার, মস্তিষ্কের টিউমার, প্রজনন সমস্যা এবং অন্যান্য কতিপয় অনিরাময়যােগ্য রােগ সৃষ্টি করে। তাছাড়া, মােবাইল ফোন ব্যবহার করে সন্ত্রাসী এবং অপরাধীরা খুব বেশি অসুবিধা ছাড়াই অপরাধ সংঘটিত করে। এর সহজ-প্রাপ্যতার কারণে আমাদের কিশাের প্রজন্ম কুরুচিপূর্ণ বিষয়ের প্রতি আকর্ষিত হচ্ছে। তারা মােবাইল ফোন ব্যবহারে অধিক সময় ব্যয় করছে। ফলে, তাদের পড়াশুনা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অধিকন্তু, কিছু কিছু ক্ষেত্রে গােপনীয়তা কঠোরভাবে রক্ষা করা হচ্ছে না, আর সে কারণে লােকজন মন্দ লােকদের দ্বারা প্রতারিত হচ্ছে। এসকল অসুবিধা সত্ত্বেও দেশ-বিদেশের লােকজনের সাথে যােগাযােগের ক্ষেত্রে মােবাইল ফোনের গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না।
Related Posts
লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
1 comment