শিক্ষা হলাে শরীর, মন ও আত্মার সমন্বিত পরিপূর্ণ বিকাশ। প্রত্যেকেরই শিক্ষা গ্রহণের অধিকার আছে। শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে নারী বা পুরুষের মধ্যে কোনাে বৈষম্য করা উচিত নয়। কিন্তু আমাদের দেশে ছেলে ও মেয়ের মধ্যে বৈষম্য করা হয়। তাই আমাদের দেশে নারী শিক্ষার অবস্থা সন্তোষজনক নয়। নারী শিক্ষার পথে কতকগুলাে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। ধর্মীয় অপব্যাখ্যা ও সামাজিক কঠোর অনুশাসন মেয়েদেরকে সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে যেতে নিরুৎসাহিত করে এবং অনেক ক্ষেত্রে বাধা দেয়। এমনকি শহরাঞ্চলে স্কুলবালিকারাও অনেক অভিভাবকদের কাছ থেকে ছাত্রীনিবাসে থাকার অনুমতি পায় না কারণ তারা তাদের মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত থাকেন। বাল্যবিবাহ ও সন্তান জন্মদান মেয়েদেরকে বাড়িতে আবদ্ধ রাখে। বিদ্যালয়ে ফিরে যাবার কোন সম্ভাবনা থাকে না। অনেক বাবা-মা মেয়েকে বিদ্যালয়ে পাঠানোের খরচটাকে অপচয় হিসেবে বিবেচনা করেন। অনেক বাবা-মা বিশ্বাস করেন যে তাদের জীবনের একমাত্র দায়িত্ব হলাে তাদের মেয়েকে তার ব্যক্তিজীবনের জন্য নয় বিয়ে ও সন্তান লালন পালনের জন্য প্রস্তুত করা । নিরক্ষরতা, কুসংস্কার, বাবা-মায়ের মন মানসিকতার সংকীর্ণতা এসব প্রতিবন্ধকতার পেছনের কয়েকটি কারণ। ব্যাপকভাবে শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে এসব প্রতিবন্ধকতাগুলাে দূর করা যেতে পারে। নারী শিক্ষাকে উৎসাহিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। তাদেরকে যদি জনবলে সম্পৃক্ত হতে দেয়া না হয় তাহলে টেকসই উন্নয়ন কখনই অর্জিত হবে না। বস্তুত, আমাদের সামগ্রিক উন্নয়নে নারীশিক্ষার গুরুত্ব সত্যিই অনস্বীকার্য।
Related Posts
লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment